সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রকাশ করা করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এর আগের ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগি শনাক্ত হয়েছে ১০০ জন, আর সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত ২১৮টি নমুনার পরীক্ষায় নতুন ৬০টি আর পুরনো রোগিদের ৫টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নেগেটিভ হয়েছে ১৫৩টি নমুনা। তবে সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবটি বিকল থাকায় এই নমুনাগুলি ঢাকা থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। অন্যদিকে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১০৬টি নমুনা পরীক্ষায় এ জেলায় আক্রান্ত ১৫ জন আর অন্য জেলায় আক্রান্ত ৪ জনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নেগেটিভ হয়েছে ৮৭টি নমুনা। এছাড়া জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল, বক্ষব্যধি ক্লিনিক এবং করিমগঞ্জ, তাড়াইল, কটিয়াদী, কুলিয়ারচর ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০০টি নমুনার র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় নতুন ২৫টি এবং পুরনো ২টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নেগেটিভ হয়েছে ৭৩টি নমুনা। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে আছেন সদরে ৪৬ জন, কটিয়াদীতে ১৪ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, হোসেনপুরে ৮ জন, পাকুন্দিয়ায় ৬ জন, কুলিয়ারচরে ৫ জন, ভৈরব ও বাজিতপুরে ৪ জন করে, ইটনায় ২ জন, আর তাড়াইল ও অষ্টগ্রামে একজন করে। অষ্টগ্রাম অনেকদিন করোনামুক্ত থাকার পর রোববার একজন শনাক্ত হলো। সুস্থ হয়েছেন সদরে ৩০ জন, তাড়াইল ও ভৈরবে ৪ জন করে, আর কুলিয়ারচরে ২ জন। রোববার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট চিকিৎসাধীন ছিলেন ১ হাজার ২৬৮ জন।